এএ আজাদ হান্নান ।। বিএনপি এখন আগের থেকে অনেক শক্তিশালী তাই নির্বাচনে বিএনপির ভোটেই বিএনপি প্রার্থীরা বিজয়ী হবে বলে জানিয়েছেন,বিএনপির কেন্দ্রিয়নেতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সরদার। গতকাল শনিবার রাতে পাকশী হাসেম আলী মিলনায়তনে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদরের প্রয়াত ত্যাগী সাবেক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান রঞ্জুর স্বরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পাকশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জাকিউল ইসলাম তপনের সভাপতিত্বে এসময় পাকশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান, শ্রকিদলের কেন্দিয় নেতা আহসান হাবিব,অধ্যক্ষ ইমরুল কায়েস পারভেজ,পাকশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সম্পাদক কবীর আহমেদ,বিএনপিনেতা ইব্রাহিম হোসেন,আব্দুর রশিদ,মহরম মাস্টার,শ্রমিকদল নেতা অলিভ হোসেন,লিটন মেম্বর,মোহাম্মদ আলী কাজল,আলহাজ্ব আজি হক,কামরুজ্জামান,যুবদল নেতা আব্দুস সালাম রনজু,মাহফুজুর রহমান মনজু,সাইদুল ইসলাম,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইমরান হোসেন,ছাত্রদল নেতা সোহেল বিশ্বাস,আইনুল ইসলাম ও শিশির আহমেদ,আশিকুর রহমান,আলমাস আলী,সহ বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এক মিনিট নীরবতা পালনের পর স্বরণসভা শুরু করা হয় এবং সভা শেষে দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি বলেন, আজকে বিএনপিকে এক শ্রেণীর মানুষ বিশেষ করে অনুপ্রবেশকারীরা জিম্মি করে ফেলেছে। অনুপ্রবেশ কারীদের কারণেই ১৯৯১ সালেও বিএনপি তিনভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করেছে। এক শ্রেণীর আওয়ামী বিএনপি সেদিন প্রকাশ্যে নৌকায় ভোট দিতে বলেছিল।আর এক শ্রেণীর জামায়াতে ইসলামী বিএনপি বিরোধীতা করেছে। সে সময় প্রকৃত বিএনপির ভোটেই বিএনপির প্রার্থী বিপুল ভোটে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করেছিল। কাজেই বর্তমানে প্রকৃত বিএনপি আগের থেকে অনেক মজবুত অবস্থায় আছে। শুধু সকল প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে এক কাতারে থেকে কাজ করলে কেউ বিএনপির বিজয়কে ঠেকাতে পারবেনা।তিনি আরও বলেন, সেদিন যারা
নৌকায় ভোট দিতে বলেছিলেন াাজকে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।আপনারা আশ্চর্য হবেন যে, আজকে
যারা মানুষের জিহবা কেটে কালো কুত্তা দিয়ে খাওয়ানোর কথা বলেন,তারা বিএনপি না অথচ বিএনপির
লেবাসে অমার্জনীয় অপরাধ করেে যাচ্ছে তাই তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত। এখনও সময় আছে প্রকৃত
বিএনপিসহ সবার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ঈশ্বরদীতে যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম বিএনপি
করেন তাদের কাছে ক্ষমা চান।
একজন বাস্তববাদী ও বিএনপি
প্রেমী নেতা রনজুর রাজনৈতিক জীবনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন,রনজু স্বার্থহীনভাবে রাজনীতি
করত। দলকে ভাল বেশে নিঃস্বার্থভাবে দলের উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করত। সে কারণেই
ঈশ্বরদীর যুব সম্প্রদায় থেকে শুরু করে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাকে পছন্দ
করত। আমাকে যখন ছাত্রলীগ-যুবলীগ ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেছিল তখনও রঞ্জুর ভু’মিকা
ছিল উল্লেখ করার মত। এরশাদ বিরোধী আন্দোপলন থেকে শুরু করে সকল প্রকার আন্দোলনে তার
ভুমিকায় দলকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হয়েছে।
তাং-২১/০৯.২০২৫
0 Comments